শীর্ষ খবর

সড়কে বাঁশ ফেলেও আটকানো যাচ্ছেনা সিলেটের মানুষদের

লকডাউন যেনো কোনভাবেই পালন করনো যাচ্ছেনা সিলেটবাসীদের। লকডাউন মানাতে সিলেটে প্রতিদিন চলছে অভিযান। প্রশাসনের জেরার মুখে পড়ে জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীরা।

অবশেষে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে নতুন পরিকল্পনা করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। যানবাহন চলাচল রোধে নগরে ১৪টি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ডিভিশন।

আজ বুধবার মহানগরের প্রায় সবক’টি পয়েন্টে বাঁশের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। তাতে যানবাহন চলাচল গতিরোধ করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

লকডাউন বাস্তবায়নে রাস্তায় নামা যানবাহন ও যাত্রীদের কোনোরকম ছাড় দিচ্ছে না পুলিশ। অতি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া লোকজনকে রাস্তা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাসায়।

গত কয়েকদিন থেকে সিলেট নগরীর সব প্রবেশদ্বারে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। মুভমেন্ট পাস বা জরুরি সেবাদানে জড়িতদের পরিচয়পত্র দেখে তাদের ব্যারিকেড পার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে পুলিশ।

এনিয়ে লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করলেও পুলিশের কড়াকড়ি অবস্থানের কারণে ছাড় পাননি তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, হুমায়ূন রশিদ চত্বরসহ সবকটি প্রবেশদ্বারে বাঁশ বেঁধে রাস্তা আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগরীর আম্বরখানা, হাউজিং এস্টেট, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, শাহী ঈদগাহসহ প্রায় সবকটি পয়েন্টে বাঁশ বেঁধে রাস্তা আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে।  ফলে ব্যারিকেডের ওপাশে দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়। কিন্তু মুভমেন্ট পাস বা পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ব্যারিকেড পার হতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার চালকদের দিনভর বাগবিতন্ডাও হয়েছে। কিন্তু বড় ধরনের ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, চৌহাট্টা, সুবিদবাজার, রিকাবিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়েছেন মনে হলেই তাকে যানবাহন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কাগজপত্র ও মুভমেন্ট পাস না থাকায় বেশ কিছু প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল, অটোরিকশার বিরদ্ধে পুলিশকে মামলা দিতে দেখা গেছে। কিন্তু যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না পুলিশ। উল্টো ঘটেছে বিপত্তি। মামলার দোহাই দিয়ে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীসংখ্যা আগের মতো হলেও ভাড়া নিচ্ছে অনেক বেশি। কেউ কেউ দ্বিগুন। একটি সিএনজি অটোরিকশায় ৩ জন যাত্রী পরিবহণের বিধি নিষেধ থাকলেও অনেক সিএনজি অটোরিকশায় পূর্বের মতো ৫ জন যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে সড়ক ও সময়বেধে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে চালকরা।

আরও সংবাদ

Close