শীর্ষ খবর
লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে ‘ন্যাচারাল ডেথ (স্বাভাবিক মৃত্যু)’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে চূড়ান্তভাবে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে অন্তরীণ হন। তিনি কারাগারে ইন্তেকাল করেন, সেটা আপনারা সবই শুনেছেন। প্রশ্ন আসছে, তিনি কারাগারে কীভাবে মৃত্যুবরণ করলেন?’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলাম। গাজীপুরের ডিসি, তিনিও একটি কমিটি করেছিলেন, আইজি প্রিজন তিনিও তাৎক্ষণিকভাবে একটি কমিটি করেছিলেন। সবগুলো কমিটির অভিমত এক রকম। তারা ভিডিও ফুটেজ ও কারাগারে যারা তার সঙ্গে অন্তরীণ ছিলেন, তার রুমে যে কয়জন ছিলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক যারা ছিলেন, হাসপাতালে যখন নিয়ে গেছেন- তাদের সবার অভিমত নিয়ে তারা যে রিপোর্টটি প্রদান করেছেন সেই রিপোর্টে বলেছেন, এটা একটা ন্যাচারাল ডেথ হয়েছে। ন্যাচারাল ডেথ মানে অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। সেটাই তারা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবগুলো রিপোর্টেই এখন পর্যন্ত এইটুকুই পেয়েছি। আমরা ফাইনালি পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের পর আরও বিস্তারিত জানতে পারব। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে যা আসছে, এর মূল হলো এটা ন্যাচারাল ডেথ হয়েছে। তিনি (মুশতাক আহমেদ) বাথরুমে গিয়েছিলেন। ওয়াশরুমে যাওয়ার পর সেখানেই তিনি অজ্ঞান হয়েছিলেন। তারপর তাকে কারাগারে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক মারা যান। এই মৃত্যু নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এছাড়া গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের পক্ষ থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সবগুলো কমিটিই ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।