লাইফস্টাইল
রোজায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
সংযমের মাস রমজান। এই মাসে সবকিছুর পাশাপাশি সংযমী হতে হবে খাদ্যতালিকায় তৈরিতেও। অর্থাৎ খুব ভারী আর মশলাদার খাবার যেমন খাওয়া যাবে না, তেমনি দূরে থাকতে হবে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার থেকেও। এসময়ে আমাদের খাদ্যাভাসে বড় পরিবর্তন আসে তাই তাই স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা জটিলতা হতে পারে। তবে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকলে এসব সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
যেসব সমস্যা হতে পারে :
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়া, পানি কম খাওয়া এবং খাবার মেনুতে আঁশযুক্ত খাবার না রাখলে কোষ্ঠ কাঠিন্য হতে পারে।
যাদের কফি বা ধূমপানের অভ্যাস আছে তারা অনেকসময় সারাদিনের রোজায় মাথাব্যথায় আক্রান্ত হতে পারেন।
তরল খাবার কম গ্রহণ করার কারণে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে হতে পারে।
পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রিক, বুকজ্বালাও হতে পারে। সারাদিন উপোস থাকার কারণে অনেকের এসিডিটিও হয়ে থাকে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার, কফি এবং সফট ড্রিঙ্কস এ অবস্থাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
যা খাবেন :
রোজার মাসে অতিরিক্ত চা ও কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ ক্যাফেইন পানিশূন্যতা বাড়ায়। ধূমপান পরিহার করুন অবশ্যই।
অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন। এতে হজমের সমস্যাসহ এসিডিটি ও নানা জটিলতা হতে পারে।
সেহরি বা ইফতারে পোলাও, বিরিয়ানি জাতীয় খাবার খাবেন না। এগুলো একদমই স্বাস্থ্যসম্মত হবে না। তেল মসলা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
সোডাজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহলিক কোনোকিছু খাবেন না। চকোলেটের বদলে ফলের জুস খাবেন। সারাদিনের রোজার পর এগুলো গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে।
সারাদিন খেতে পারবেন না বলে সেহরিতে পেটভর্তি খাবার খাবেন না। পারলে এক-চতুর্থাংশ খালি রাখবেন। এতে অলসতা আসবে না। আর একবারে বেশি পানি পান করবেন না।
ইফতারের সময় খালি পেটে একদম ঠান্ডা পানি না খাওয়াই ভালো।