আজকের সিলেটসিলেটের টুকরো খবর
পূজায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করবে সিসিকের বিশেষ টিম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মণ্ডপে মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালনের আহবান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নগর ভবনে আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা ও অনুদান বিতরণী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, পূজা মণ্ডপের জনসামগম এলাকায় নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক ছিটানো হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সিসিকের বিশেষ টিম মাঠে কাজ করবে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানে সিসিকের করনীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। মেয়র বলেন, ভার্চুয়ালি অঞ্জলি প্রদানের আয়োজন করা হলে লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে সিসিক।
তিনি বলেন, সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী। পুণ্যভূমি সিলেটের শতবছরের ধর্মীয় সস্প্রীতির ইতিহাস রয়েছে। তাই নির্বিঘ্নে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালনে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা পালনের নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী এবার ধর্মীয় ভাবগাম্বির্যতা বজায় রেখে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সীমিত আকারে পালন এবং প্রতিমা বিসর্জনের র্যালি না করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুরোধও জানানো হয়।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিসিকের কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, সিলেট রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমত স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ, পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা অ্যাডভোকেট, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সৃব্রত দেব, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, মহানগর পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আনম মনছুফ, এসেসর চন্দন দাশ, সিলেট নগরীর বিভিন্ন মন্দির ও আশ্রমের প্রতিনিধিগণ। পরে সিলেট মহানগরীর ৪৯ টি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে নগদ অনুদান বিতরণী করা হয়।