অগ্নি দুর্ঘটনায় পড়া বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণ কাজের ত্রুটির জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট আবাসন প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৬৭ জনকে দায়ী করে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার।
বুধবার (২২ মে) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। দায়ী ব্যক্তিদের তালিকায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেমও রয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রাজউকও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে। আমাদের রেওয়াজ আছে তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। আমি অঙ্গীকার করেছিলাম সেই সনাতনী ধারণার বাইরে বেরিয়ে আসব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল এই ভবনটি নির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ছিল কি-না। হয়ে থাকলে তা কোন ধরনের। এফআর টাওয়ারের ১৫তলা পর্যন্ত অনুমোদন নেওয়া হয়। এই অনুমোদন যথাযথ ছিল।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘এরপর ১৮তলা পর্যন্ত নির্মাণ প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল, কিন্তু যে উপায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটা সঙ্গত ছিল না। অনুমোদন দেওয়ার সময় যে আইন ছিল সেই আইনের আওতায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি, অনুমোদন দেওয়া হয় আগের আইনে। এফআর টাওয়ারের ১৮তলা থেকে ২৩তলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ অবৈধ বলেও উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।’