আন্তর্জাতিক

বৃটেনের ভুল আর মার্কিনীদের গুলিতে বেড়েছিল কাবুলে নিহতের সংখ্যা

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছে যে কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার পেছনে ব্রিটেনের দায় আছে। সোমবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেইল অনলাইন।

ব্রিটেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কথিত উষ্ণ সম্পর্ক থাকার পরেও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন অভিযোগ করে বলেছে, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেট খোরসানের বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ার পেছনে ব্রিটেনের ভূমিকা আছে। ব্রিটেনের ওই নেতিবাচক ভূমিকা না থাকলে মৃত্যের সংখ্যা এত বাড়ত না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি বিশেষ গেট বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করেছিল। কাবুল বিমানবন্দরে মারাত্মক বোমা হামলার আগেই ওই অনুরোধ করেছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ব্রিটেন ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি। তারা ওই বিমানবন্দরের বিশেষ গেটটি খোলা রেখেছিল এবং এয়ারলিফট কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের লোকদের সরিয়ে নেয়া অব্যাহত রেখেছিল।

আরো একটি নতুন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যখন ওই মারাত্মক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়ারা দাবি করেছেন, বহু মানুষ মারা গেছেন মার্কিন সেনাদের গুলিতে। যখন ভয়াবহ বোমা হামলা হয় তখন শঙ্কিত মার্কিন সেনারা সমবেত সাধারণ মানুষদের ওপরেই গুলি বর্ষণ করে। ওই সাধারণ মানুষগুলো আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিল। মার্কিন সেনাদের গুলিতে নিহতদের মধ্যে অনেকের আত্মীয়রাও ছিলেন। নিহতদের মধ্যে দু’সন্তানের জনক এক বৃটিশ নাগরিকও ছিলেন।

পেন্টাগনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম দ্যা পলিটিকো জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা আগে থেকেই কাবুল বিমানবন্দরে বড় ধরনের হামলার শঙ্কা করছিলেন। তারা কাবুল বিমানবন্দরের ওই গেটে হামলার শঙ্কা করছিলেন। তারা ওই ভয়াবহ বোমা হামলার ২৪ ঘণ্টা আগেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

রাত ১২টার সময় হওয়া দ্বিতীয় দফা সভায় তারা সিদ্ধান্ত নেন যে বিমানবন্দরের ওই গেটটি তারা বন্ধ রাখবেন। কিন্তু ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের শিথিলতার কারণে ওই স্থানে ইসলামিক স্টেট খোরসানের আত্মঘাতী বোমা হামলা হয় এবং ১৭০ সাধারণ নাগরিক আর ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়।

সূত্র : মেইল অনলাইন

আরও সংবাদ

Close