রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। এতে যদি সমাধান না হয়, তাহলে এই সংকট গোটা অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।’
শনিবার (১৫ জুন) তাজাকিস্তানের রাজধানী দুশানবের নাভরুজ প্রাসাদে অনুষ্ঠিত (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিজ ভূমিতে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনের জন্য কনফারেন্স অন ইন্টার্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়া’র (সিআইসিএ) অংশীদারদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন ।
রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভয়ঙ্কর গণহত্যা ও ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার রোহিঙ্গা জনগণের জন্য বাংলাদেশের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জাতিগত নিধন ও সীমাহীন মানবিক বিপর্যয়ের এই ভয়াবহ ঘটনা পাঠ্যবইয়ে নজির হিসেবে স্থান পেয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নিজ ভূমি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় চাওয়ার পরে মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।’
এই অঞ্চলে বিভিন্ন ইস্যুতে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা সহিংস চরমপন্থী, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, জোরপূর্বক উদ্বাস্তু অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম করার মতো অনেক গুরুতর সমস্যার মোকাবিলা করছি। এজন্য এসব ইস্যুও মোকাবিলায় সাড়া দিতে সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘অনিয়মিত অভিবাসন, মাদকপাচার, জাতিগত সংঘাত, বিচ্ছিন্নতাবাদ, অর্থনৈতিক সমস্যা ও দৃশ্যমান জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ক্রমাগত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘এশিয়ার শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদারে বহুজাতিক সংস্থা সিআইসিএ গঠিত হয়েছে।’ এই জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।