শীর্ষ খবর
বিপর্যস্ত শিডিউলে চরম ভোগান্তি : জায়গা নেই ছাদেও
বিমানবন্দর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করল, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস আসবে। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক’শ মানুষ প্লাটফর্মের পাশে এসে দাঁড়ালো। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ট্রেনটি আসতে দেখে অনেকেই হতাশ ও বিপদগ্রস্ত। কারণ ট্রেনটির ভেতর ও ছাদে কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। অধিকাংশ দরজা, জানালা বন্ধ। ফলে বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ যাত্রীদের যাওয়া হলো না।
ট্রেনটি ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা যায়, ‘ও ভাই, ও ভাই, দরজার খোলেন’- এমন ভাবে অনেকেই আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু দরজা খুলছে না ভেতর থেকে। অনেকে দরজায় হাত চাপড়াচ্ছেন। তাতেও কাজ হচ্ছে না। অল্প যে কয়েকটি দরজা খোলা ছিল ট্রেনটির, তাতেও যাত্রীতে পূর্ণ। পা ফেলার জায়গাও নেই।
এমনিতে টিকিট পেতেও পোহাতে হয়েছিল একদফা ভোগান্তি। এবার বাড়ি যেতেও তাই। রেল পথের যাত্রীদের ভোগান্তি যেন কমার নয়। এ যেন নিয়তি আগে নির্ধারিত।
শনিবার সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেলো ট্রেন ছাড়ার শিডিউল পুরো বিপর্যস্ত। কোনো ট্রেন ছাড়তে ৬ ঘণ্টা, কোনোটি ৮ ঘণ্টা, আবার কোনো ট্রেন ১০ ঘণ্টা পিছিয়ে শিডিউল দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা মহা বিরক্ত। শুধু মহাবিরক্ত নয়, রীতিমত ক্ষুব্ধ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা ছিলো। কিন্তু এটি সাড়ে ৮ ঘণ্টা দেরিতে দুপুর আড়াইটায় ছেড়ে যাবে।
খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিলো। কিন্তু এটি ৬ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক সকাল ১২ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাবে।
চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো। ৮ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক বিকেল ৪টায় ছেড়ে যাবে।
রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো। এটি রাত ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।