শীর্ষ খবর

ইসি ভোট পেছালে আমাদের কোনো আপত্তি নেই

সরস্বতী পূজার দিনে ভোট গ্রহণের বিষয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারিখ পরিবর্তন হলে তার দলের কোনো আপত্তি নেই।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। পূজার কারণে আজকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন হিন্দু ধর্মালম্বীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য, যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবসম্মত একটা সমাধান খুঁজে নেবেন। এটাই আমরা আশা করি। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, তারিখ পরিবর্তন করবেন, এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার। তারা এটি করতে পারেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সরকারের কিছুই করণীয় নেই এবং আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২২০০ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে পূজা হবে। ৫৪ কেন, ৪টিতে হলেও ধর্মের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত। আমরা সেটা করি। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের তাদের সঙ্গে বসা উচিত। ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির সম্মানজনক যৌক্তিক সমাধান তারা খুঁজে নেবেন। এটি আমরা আশা করছি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একজন প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পূজার দিনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে সরকার বড় অন্যায় করেছে। আমি বলতে চাই, তারিখ কিন্তু আমরা নির্ধারণ করি নাই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ বিষয়টির এখতিয়ার তাদেরই। কবে সিডিউল, কবে তারিখ, এটা নির্বাচন কমিশনই দেখবে। এখানে সরকারের কিছু নেই। কাজেই সরকার এখানে অন্যায় করেছে, এ কথার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না।’

কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থীর বাইরে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বসিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দলের বাইরে যারা নির্বাচন করছেন, নির্ধারিত সময়ে যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি তাদের প্রত্যাহার করানোর জন্য চেষ্টা করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবউল্লাহ হীরু, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজী।

আরও সংবাদ

Close