আজকের সিলেট
সুরমা-কুশিয়ারার পানি হ্রাস-বৃদ্ধি : বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদ-নদীগুলোর পানি কোথাও বেড়েছে। আবার কোথাও কমেছে। হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। সিলেট মহানগরীসহ অন্যান্য এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সুরমার পানি সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিপদসীমার ১ দশমিক ১২ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় তা ছিল ১ দশমিক ৩০ মিটার উপরে। ২৪ ঘন্টায় এই পয়েন্টে সুরমার পানি কমেছে ১৮ সেন্টিমিটার।
সুরমা সিলেট পয়েন্টে প্রায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এখানে নদীটি বইছিল বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। রবিবার তা ছিল ৬১ সেন্টিমিটার উপরে।
কুশিয়ারা ৩টি পয়েন্টের মধ্যে ২টিতে কমেছে আর বেড়েছে একটিতে। জকিগঞ্জের আমলসীদে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বইছিল বিপদসীমার ১ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। রবিবার তা ছিল ১ দশমিক ৫৯ মিটার উপরে। ২৪ ঘন্টায় এই পয়েন্টে পানি কমেছে ১৫ সেন্টিমিটার।
শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপরে। রবিবার তা ছিল ১ সেন্টিমিটার উপরে। মানে এ পয়েন্টে বেড়েছে ৯৩ সেন্টিমিটার।
শেরপুর পয়েন্টে অবশ্য কুশিয়ারার পানি বেড়েছে মাত্র ১ সেন্টিমিটার। তবে এখানেও এখনো বিপদসীমার উপরে আছে। সোমবার সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে নদীটি বইছিল বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। রবিবার তা ছিল ৫১ সেন্টিমিটার উপরে।
সিলেট সীমান্তের পাহাড়ী নদী সারির বিপদসীমা নিচে থাকলেও তা কিছুটা বেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় এ নদীটি বইছিল বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে। রবিবার তা ছিল বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার নিচে। মানে সারির পানি ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার।
সীমান্তবর্তী অপর পাহাড়ী নদী লোভার পানিও বেড়েছে প্রায় ১১ সেন্টিমিটার। সোমবার সন্ধ্যায় এ নদীটিতে পানি ছিল ১৪ দশমিক ৯৫ মিটার। রবিবার সন্ধ্যায় তা ছিল ১৪ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটার।