আজকের সিলেট
গোয়াইনঘাটে ত্রিভুজ প্রেমে নির্মল খুন : স্বীকারোক্তি প্রেমিকার
আজকের সিলেট প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাটে নতুন প্রেমে বাঁধা দেয়ায় খুন করা হয়েছিল সাবেক প্রেমিক নির্মলকে। হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছ পুলিশ।
এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন কনিকা বিশ্বাস নামের এক নারী। প্রেমঘটিত কারণেই নির্মল বিশ্বাস খুন হন বলে দাবি করেছেন কনিকা।
স্বীকারোক্তিতে কনিকা বলেন, নির্মল বিশ্বাসের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে কার্তিক দাস নামে আরেক ব্যক্তির সাথে কনিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে নির্মল বিশ্বাস বাধা হয়ে দাঁড়ান। এ কারণে নির্মল বিশ্বাসকে হত্যা করা হয়।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রবিন পাত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলার আলামত মোটর সাইকেল গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
লিশ সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নকশিয়ার পুঞ্জিতে ১৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিখিল বিশ্বাসের ছেলে নির্মল বিশ্বাসের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। নিখিল জানান ১৭ জুলাই সকালে মটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় নির্মল। সে ভাড়ায় মটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ১৭ জুলাই রাত ১২টার পরও নির্মল বাড়িতে ফিরেনি। ১৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় লোকজন নকশিয়ার পুঞ্জির গভীর জঙ্গলে নির্মলের লাশ দেখতে পান।
পরে লাশটি উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। নিখিল বিশ্বাস অজ্ঞাতদের আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলার সূত্রধরে নকশিয়ার পুঞ্জির শিশিন্দ্র দাসের মেয়ে কনিকা উরফে কনকা দাসকে গ্রেফতর করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের কালা দাসের ছেলে কার্তিক দাস, মাটিখাফা গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস ও লুনি গ্রামের নগেন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুবল দেবনাথকে গ্রেফতার করে। কনিকা দাস কনকা সিলেট বিজ্ঞ বিচারকের আদালতের ৬৪ দ্বারা জবান বন্দিতে নির্মল বিশ্বাস হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। তা দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।
এছাড়া গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হিল্লোল রায় ও গোয়াইনঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জুনেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে। অপরদিকে পৃথক অভিযানে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া মটর সাইকেল উদ্বারের খবর পাওয়া গেছে।