আইটি
টাকা-ফোনের স্ক্রিনে ২৮ দিন বাঁচে করোনা
এর আগে চালানো বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে করোনাভাইরাস ব্যাংক নোট ও কাঁচে দুই থেকে তিন দিন এবং প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের পৃষ্ঠে ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
স্টেইনলেস স্টিল কিংবা মোবাইল ফোনের পৃষ্ঠে ২৮ দিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। সোমবার (১২ অক্টোবর) ভাইরোলজি জার্নালে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা সিএসআইআরও’র একটি প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস কিছু পৃষ্ঠে ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে ১০ দিন বেশি বেঁচে থাকতে পারেন বলে সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএসআইআরওর চিফ এক্সিকিউটিভ ড. ল্যারি মার্শাল বলেন, “ভাইরাসটি কতক্ষণ পৃষ্ঠতলে বেঁচে থাকে তা জানার ফলে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে আরও সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করতে এবং এর বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হবেন।”
এসিডিপির উপপরিচালক ড. ডেবি ঈগলস বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় (২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সেখানে ভাইরাসটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং মোবাইল ফোন কিংবা কাঁচের মতো মসৃণ পৃষ্ঠগুলোতে এটি ২৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ৩০ ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উন্নীত করলে করোনাভাইরাসের ভাইরাসের বেঁচে থাকার সময় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে দেখা গেছে।”
এর আগে চালানো বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে ভাইরাসটি ব্যাংক নোট ও কাঁচে দুই থেকে তিন দিন এবং প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলে ছয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। যদিও ফলাফলগুলোর মানে ভিন্নতা ছিল।
এদিকে, বাস্তব জীবনে পৃষ্ঠতল থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে এমন হুমকির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে, করোনাভাইরাস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমিত হয় মানুষের কাশি, হাঁচি বা কথা বলার মাধ্যমে।