আজকের সিলেটমৌলভীবাজার

নারী নেত্রীর ডিনার পার্টিতে গাজা সেবনের পর ধর্ষণ : দু’টি মামলা হলেও গ্রেফতার নেই

মৌলভীবাজারে মাদকদ্রব্য সেবন শেষে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দু’টি মামলা হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।

বুধবার মৌলভীবাজার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পরিমল দেব সমকালকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ও আইসিটি আইনে দু’টি মামলা হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরতলীর সোনাপুর গ্রামে সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানের ভাড়া বাসায় ৩ আগস্ট রাতে ডিনার পার্টির আয়োজন করেন মারজিয়া প্রভা নামে এক নারী নেত্রী। ডিনার পার্টিতে ছিলেন ছাত্রফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক রায়হান আনসারি, অতি সম্প্রতি ছাত্রফ্রন্ট থেকে বহিষ্কার হওয়া জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সজিরুল ইসলাম তুষার, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী, নারী নেত্রী প্রভা ও বাসার ভাড়াটিয়া মাহমুদ এইচ খান। রাতের খাওয়া শেষে আড্ডার ফাঁকে গাজা সেবন করে সবাই। এক পর্যায়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণী অসুস্থবোধ করলে ছাত্রফ্রন্ট নেতা তুষার তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

বাসার ভাড়াটিয়া মাহমুদ এইচ খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে সাবেক ছাত্রফ্রন্ট নেতা রায়হান আনছারী ও উপস্থিত নারী নেত্রী।

গত ২৫ আগস্ট ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে শহর তথা জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর ভিকটিম ৩১ আগস্ট বিকেলে মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষকসহ ৪ ব্যক্তির নামে পৃথক দু’টি মামলা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০৩ এর ৯ এর ১/৩০ ধারায় দায়ের করা মামলায় ছাত্রফ্রন্টের সদ্য সাবেক নেতা সজিবুল ইসলাম তুষারকে প্রধান আসামি করে রায়হান আনছারী ও মার্জিয়া প্রভাকে আসামি করা হয়। আইসিটি আইনে দায়ের করা মামলায় তিনি এ বি খান বিজয়কে আসামি করেন।

অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুল ইসলাম তুষারকে সংগঠন ও সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সৌজন্যে : সমকাল

আরও সংবাদ

Close