শীর্ষ খবর
ডেঙ্গুতে আবহাওয়া কর্মকর্তার স্ত্রী, স্কুলছাত্রীসহ প্রাণ গেল ৪ জনের
আজ সোমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বা মা, এক স্কুলছাত্রী রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার শাপলা (৩২) আজ সোমবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর থেকেই শাপলার জ্বর শুরু হলে তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও ডায়াবেটিস থাকার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এদিকে, খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খাদিজা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে খুলনা নগরীর সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খাদিজা বেগম বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের দুলু মোল্লার স্ত্রী। সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯ টায় ‘ডেঙ্গু শকড সিন্ড্রোম’ নিয়ে খাদিজা বেগম হাসপাতালে ভর্তি হন। তার রক্তে প্লাটিলেট কাউন্ট খুবই কম ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে খুলনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই নারী ও এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হলো।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় অথৈ সাহা (১১) নামে এক স্কুলছাত্রী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অথৈ সাহা বোয়ালমারী পৌর সদরের কামারগ্রামের কানাই সাহার মেয়ে এবং নিউ অলব্রাইট প্রি-ক্যাডেট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বোয়ালমারী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মদন দাস জানান, অথৈ সাহা গত ৬/৭ দিন যাবত জ্বরে ভুগছিল। প্রথমে স্থানীয় ডাক্তার দেখানো হয়। রোববার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার ধানমন্ডি ৭ নং রোডে আনোয়ারা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সে মারা যায়। কানাই সাহার তিন মেয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। কানাই সাহা ঢাকায় জুয়েলারির ব্যবসা করেন।
মাদারীপুরের শিবচরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রিপন হাওলাদার (৩০) নামে আরও এক যুবক মারা গেছেন। এনিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হলো। রিপন শিবচর উপজেলার সন্নাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে আসেন রিপন। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান তিনি। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন চিকিৎসক। তবে রিপন ফরিদপুরে না গিয়ে বাড়ি চলে যান।
রোববার রাতে তার অবস্থা গুরুতর হলে আবার শিবচর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে রিপন মারা যান।