শীর্ষ খবর

আবরার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারের পতনের বীজ রোপণ হয়েছে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারের পতনের বীজ রোপণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।

ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চারটি চুক্তির একটিও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে নয় দাবি করে বিএনপির নেতারা বলেছেন, ভারতকে তোষণের নীতি হিসেবে এসব চুক্তি করা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, ভারতকে খুশি করতেই ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারসহ চার চুক্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসমাবেশে বিএনপির দুই জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ এ কথা বলেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কে এম নাজির উদ্দিন জেহাদ হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদের পতনের বীজ রোপণ করা হয়েছিল। আর আবরার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এই সরকারের পতনের বীজ রোপণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি, উপকূলীয় এলাকায় ভারতের রাডার স্থাপন— চুক্তির চারটি অংশই বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী। তারা কী পরিমাণ পানি ফেনী নদী থেকে প্রত্যাহার করে নেবে, চুক্তিতে এর কিছুই উল্লেখ নেই। পত্রপত্রিকা দেখেছি, ফেনী নদী থেকে ভারত বিনা অনুমতিতে ইতিমধ্যে ৩৬টি পাম্প লাগিয়ে ৭২ কিউসেক পানি জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মোশাররফ বলেন, ‘আপনি ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানির চুক্তি করে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সামান্য পানি, পান করার জন্য পানি। এর জন্য কেন আমরা এত হইচই করছি। চুক্তি ছাড়াই ৭২ কিউসেক পানি নিয়ে যাচ্ছে, আর আপনারা ১ দশমিক ৮২ কিউসেক দিয়ে বলছেন সামান্য। এই পানির প্রত্যাহারের ফলে ফেনী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষিকাজ ব্যাহত হবে, শুষ্ক মৌসুমে পানি অভাব হবে, মুহুরি প্রজেক্টের পানির অভাব হবে। আর আপনি বলছেন জাতীয় স্বার্থবিরোধী কিছু করেননি।’

এলপিজি রপ্তানি চুক্তির বিরোধিতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা এলপিজি বিদেশ থেকে আমদানি করি। এখানে ডিউটি ফ্রি এলপিজি আমদানি করে কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তাদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য আবার ভারতে এখান থেকে সেই এলপিজি সরবরাহ করা হবে। ভারতে থেকে যেখানে ১৫ শত কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে যে এলপিজি নিয়ে আসতে হতো, বাংলাদেশের এই সুবিধা দিয়ে মাত্র ২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম সেই এলপিজি ভারতে পৌঁছেছে। তাহলে এটা বাংলাদেশের স্বার্থ, নাকি ভারতে স্বার্থ।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবীব-ঊন নবী খানের সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

আরও সংবাদ

Close