আজকের সিলেট
ঘরে বসে থাকার সময় নেই, রাজপথ দখলে নিন : যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এম.এ হক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম.এ হক বলেছেন, আমাদের সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে এই বাণী পৌঁছিয়ে দিতে হবে যে, এখন ঘরে বসে থাকার সময় নেই। নিজের অধিকার আদায়ের জন্যে, বেঁচে থাকার অধিকারের নিশ্চয়তা পাবার জন্যে সকলকে এই ভয়াবহ যে দানব আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, সেই দানবকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সকলকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। সবাই জাগ্রত হোন, রাজপথ দখলে নিন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত হোন।
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করবো। এই দেশে গণতন্ত্রের যতটুকু অর্জন হয়েছিলো, যিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলেন, তাদের বিদায় করেছিলেন, সেই গৃহবধু থেকে দেশের পথে প্রান্তরে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপশা থেকে পাতুলিয়া পর্যন্ত সংগ্রাম করেছেন, আজকে সেই গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ সরকার প্রতিহিংসার বিচারে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে।
তিনি রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নগরীর শহীদ সুলেমান হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এর আগে রেজিস্টারী মাঠ হতে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দরগাহ গেইটে গিয়ে শেষ হয়।
সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ মামুন এবং সাংগঠনিক ছাদিকুর রহমান ছাদিকের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন বলেছেন, সরকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে কারাগারে আটক করে রেখেছে। আইন-আদালতের ভূমিকা কি এবং তারা কি করছে। জনগণ সবকিছু অবহিত আছেন। তাই আজকে আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে এবং আন্দোনের মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি করে অবৈধ সরকারকে হঠিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা এখন একেবারেই শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা সরকারের পতন ঘটাবো। বাধ্য করবো দেশনেত্রীসহ আমাদের সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করবার জন্য। তিনি আরো বলেন, এই সভা থেকে ২০১৯ সালের জাগ্রত বিবেক রাশেদ খান মেননকে প্রকৃত সত্য কথা বলার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম নেতা ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সকল গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনকে সরকার হটাতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি জায়গায় প্রত্যেক মানুষ এখন শুধু অপেক্ষা করে আছে কখন একটা সুযোগ পাবে, সেই সুযোগের সৎব্যবহার করে এই সরকারকে একেবারে চিরতরে উৎখাত করে দেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া এশিয়া মহাদেশে সবচেয়ে ত্যাগ শিকারকারী একজন নেতা। তিনি দীর্ঘকাল গণতন্ত্র পুনরূদ্ধার ও প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার রাজনীতির জীবন শুরুটাই রাজপথে। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারে বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশে পথে-প্রান্তরে জনগণকে সংগঠিত করেছেন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি যুবদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন- আগামী যে নতুন কমিটি হবে সেই কমিটি বর্তমান যুবদল এবং সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ের মাধ্যমে গঠিত হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা মো. আব্দুল মান্নান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা যুবদলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক খালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. সুরমান আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক লিটন আহমদ চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা ইসরাজ জাহান খোকন।
অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুশ শুকুর, নিজাম উদ্দিন জায়গীরদার, এম.এ মতিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুস সামাদ তুহেল, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক আলী আহমদ হিরা, সহ প্রচার সম্পাদক আব্দুল মালেক, ক্রীড়া সম্পাদক সুলতান আহমদ বাবু, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, যোগাযোগ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলাই, সাবেক ছাত্রদল নেতা জয়দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত, জয়নাল আবেদীন, আমীর হাসান শামীম, টিটন মল্লিক, একরাম হোসেন পুলক, মন্টু কুমার নাথ, জেলা ও মহানগর যুবদল নেতা আব্দুল খালিক, দিলওয়ার হোসেন দিলু মেম্বার, হাবিবুর রহমান হাবিব, মন্তাজ হোসেন মুন্না, গিয়াস উদ্দিন, সুহেল মাহমুদ, হাজী মামুন আল রশিদ হেলাল, সাব্বির আহমদ, সাহেদ আহমদ, মনির মুন্সি, ইকবাল কামাল, আব্দুস সোবহান, আমির হোসেন হাজারী, আমিনুর রহমান চৌধুরী শিফতা, মুহাইমিনুল ইসলাম সোহেল, আলী আহমদ আলী, শেখ রায়হান আহমদ, আবুল মনসুর চৌধুরী, কাওছার আহমদ নামর, সেলিম আহমদ, আলী আহমদ, এহসানুল করিম মিশু, সালাহ উদ্দিন, আব্দুল মুকিত সুমেল, আমির হোসেন, ফিরোজ আহমদ, আজহার চৌধুরী, সাহিদ আলী, সদর উপজেলা যুবদল নেতা মুহিবুর রহমান মুহির, রুহেল আহমদ রয়েল, মইন উদ্দিন, আব্দুস সালাম, আঙ্গুর আলম, বাবুল মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান রুহেল, আমিনুর রহমান, কামাল আহমদ, মাসুদ আলী মাসুম, আব্দুর রকিব মোস্তাক, গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা এনামুল হক, এডভোকেট আমিন উদ্দিন আহমদ, হেলাল খান, জৈন্তা উপজেলা যুবদল নেতা ইন্তাজ আলী, বাহারুল আলম বাহার, বিয়ানীবাজার উপজেলার দৌলা হোসেন সুবাস, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলাম ছোটন, কানাইঘাট উপজেলা খসরুজ্জামান খসরু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলী আকবর, নুরুল মোন্তাকিন বাদশা, বালাগঞ্জের সেলিম আহমদ, আব্দুস সালাম আজাদ, বিশ^নাথের আব্দুর রউফ, ওসমানীনগরের হাবিবুর রহমান প্রমুখ।