আজকের সিলেটহবিগঞ্জ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল হবিগঞ্জের ছাত্রদল নেতার

আজকের সিলেট প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেলেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মো. ইউসুফ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ইউসুফের পরিবারের সদস্যরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে ঘটে যাওয়া এ লোমহর্ষক দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারালেন ছাত্রদলের এই নেতা।

নিহত ইউসুফ হবিগঞ্জ জেলার আনোয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান আলীর ছেলে।

জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে ইউসুফ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও গ্রামের চিশতিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মরত। এ দম্পতির দেড় বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। নাম ইশা বেগম।

নিহত ইউসুফ ২০১৫ সালে হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে এমএ পাশ করে ‘লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন’ নামে একটি স্কুল পরিচালনা করছেন। স্কুলটিতে তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করছিলেন।

স্ত্রী চট্টগ্রামে থাকার সুবাদে প্রায়ই তিনি সেখানে যাতায়াত করতেন। সোমবার দিবাগত রাতে ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনযোগে স্ত্রী ও সন্তানকে আনতে তিনি আবারও চট্টগ্রামে রওয়ানা হয়েছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যেই ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ইউসুফ।

তিন ভাই-বোনের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন তৃতীয়। ২০১১ সালের জুনে মারা গেছেন তার বাবা। এছাড়া ২০১৭ সালের মার্চে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার বড় ভাই মো. উসমান গনি। ফলে এমএ পাশ করেই পরিবারের হাল ধরেছিলেন তিনি নিজেই।

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী জানান, ইউসুফ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। তার চাকরি করার সুবাদে তার স্ত্রী চট্টগ্রামে থাকায় তিনি প্রায়ই সেখানে যাতায়াত করতেন স্ত্রী-কন্যাকে দেখার জন্য।

সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী আরও জানান, ইউসুফ অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিলেন। বাবা ও ভাই মারা যাওয়ার কারণে তিনিই ধরেছিলেন পরিবারের হাল। তার একমাত্র ছোট ভাই আমজদ আলী বর্তমানে বিএ পড়ছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ইউসুফের পরিবারের সদস্যরা।

আরও সংবাদ

Close