প্রবাস
বিসিএ‘র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ব্রিটেনে বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন (বিসিএ) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর সোমবার ওয়েস্ট লন্ডস্থ বিসিএ এর কার্যালয়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি সঞ্চালনায় ছিলেন বিসিএ’র সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী ও ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল মুজিবুর রহমান ঝুনু।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএর প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম। বিসিএ’র বার্ষিক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী। করোনা পেন্ডামিকের কারণে গত বছর বিসিএ’র সাধারণ সভা করা সম্ভব হয়নি। রিপোর্টে গত বছরের উল্লেখযোগ্য কাজের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বিসিএ‘র প্রধান কোষাধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বিপুল বিগত বছরের আর্থিক রিপোর্টের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো- বিসিএ’র আগামী কমিটিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট এডভাইজারি কাউন্সিল অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এছাড়াও বিসিএ লাইফ মেম্বার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে লাইফ মেম্বারকে প্রথমে অবশ্যই বিসিএ’র সাধারণ সদস্য হতে হবে।
বিসিএ এর জন্য নিজস্ব চ্যারেটি উইং-‘বিসিএ ফাউন্ডেশন‘ নামে একটি চ্যারেটি রেজিস্টার করা হবে।
বিসিএ অনারারি মেম্বার করবে। এক্ষেত্রে বিসিএ’র সাবেক সদস্য –যারা ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার নন শুধু তাদেরকে অনারারি বিসিএ মেম্বার করা হবে। এবং বিসিএর শুভাকাংখি ও বিসিএর সাথে যাদের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে তাদেরকেও বিসিএ অনারারি মেম্বার করা হবে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের বিভিন্ন রিজওনের বিসিএ এর মেম্বারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকলের মতামত ও সমর্থন নিয়ে সিদ্ধাত গৃহীত হয়।
সভায় প্রথম লাইফ মেম্বার হিসাবে ১ হাজার পাউন্ডের চেক হস্তান্তর করেন বিসিএ’র এনইসির সদস্য ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্য এর সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রেসিডেন্ট এম কামাল ইয়াকুব ও বজলুর রশীদ এমবিই, মেম্বারশীপ সেক্রেটারী ইয়ামিন দিদার, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু, সিনিয়র সহ সভাপতি যথাক্রমে জামাল উদ্দিন মকদ্দস, মোজাহিদ আলী চৌধুরী, ফিরুজুল হক, মেহেরুল ইসলাম, সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল ওলি খান, কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, কালচারাল সেক্রেটারী নাসির উদ্দিন এবং বিসিএর এনইসি সদস্য সামসুল আলম খান শাহীন,আব্দুল হাই এবং সাফওয়ান চৌধুরী প্রমুখ।
বিসিএ’র সভাপতি এম এ মুনিম বলেন,করোনা পেন্ডামিক সময়ে বিসিএ‘র সদস্যরা এনএইচএস স্টাফ, কেয়ার হোম ও ফ্রন্টলাইন ওয়ারকারদের মধ্যে এক লক্ষ খাবারের প্যাকেট বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। এছাড়াও একই সময়ে বিসিএ‘র সদস্যরা বিভিন্ন শহরে এনএইচএস স্টাফদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্টে খাবার কেনার সুযোগ দিয়েছে।যা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সহ ব্রিটেনে মূলধারায় প্রসংশিত হয়েছে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, প্রায় ১২হাজার রেষ্টুরেন্ট ও টেকওয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বিসিএ এবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে ১৯তম এওয়ার্ড প্রদান করবে। অনুষ্ঠানটি আগামী ৭ নভেম্বর, রবিবার লন্ডনের বিখ্যাত ওটু ইন্টারকন্টিনাল (O2 Intercontinental)-এ অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের ডায়মন্ড জুবিলি বছরে এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে রেষ্টুরেন্ট এর দক্ষ ও অদক্ষ ষ্টাফ সংকট নিরসনের মাধ্যমে রেষ্টুরেন্টগুলোকে টিকিয়ে রাখা, ভিএটি ও বিজনেস রেইট কমিয়ে আনা এবং এ্যাপেন্ট্রিশীপ স্কিম এর মাধ্যমে অন্যান্য সমস্যা নিরসনের দাবী তুলে ধরা হবে। বিসিএ’র পক্ষ থেকে ১৯তম এওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি সফল করতে সকল সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন- আমাদের সকল অর্জনে বিসিএ’র সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি করোনা পেন্ডামিক সময়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সকল রিজওনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ( বিসিএ) ইতিমধ্যে কারী লাভার্সদের কাছে কমিউনিটিবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসাবেও অধিক পরিচিত লাভ করেছে। আগামীতেও বিসিএ’র সকল সদস্যদের মেধা শ্রম ও আর্থিক সহযোগিতায় কারী শিল্পের প্রতিনিধিত্বমূলক সংগঠন হিসাবে মেইনস্ট্রিমে উচ্চকণ্ঠ থাকবে।
প্রধান কোষাধ্যক্ষ সাইদুর রহমান বিপুল বলেন, বিসিএ সকল সস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা করোনার কঠিন সময় পার করেছি। ১৯তম বিসিএ এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আমরা নতুন উদ্যোমে আবারও বাংলাদেশী কারী শিল্পকে আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে একসাথে কাজ করবো। তিনি ডায়মন্ড জুবিলী সময়ে বিসিএ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকলের অবদানকে কৃতজ্ঞতায় স্বরণ করেন।