আজকের সিলেট
খাদিমপাড়ার হাসপাতালে মিলবে বিনামূল্যে করোনার সেবা
সিলেটে বিপদজনকভাবে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিভাগের ৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সিলেট জেলায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় চিকিৎসা সেবা প্রদানের স্থান খুবই সীমিত।
বর্তমানে সিলেটে তিনটি হাসপাতালে করোনাক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল পুরোপুরিভাবে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ। এটি একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হয়। সরকারি এ হাসপাতাল ছাড়া বাকি দুটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার মতো ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই।
ফলে এ দুই শ্রেণির মানুষ আক্রান্ত হলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেই ছুটে যান। যে কারণে এ হাসপাতালে এখন রোগীদের প্রচণ্ড চাপ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিলেটে আরেকটি হাসপাতালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুরু হচ্ছে করোনাক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবা। আগামীকাল শনিবার থেকে সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়াস্থ ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এই চিকিৎসা প্রদান শুরু হচ্ছে। এ হাসপাতালে সাধারণ মানুষ কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই চিকিৎসাসেবা পাবেন।
জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় করোনা চিকিৎসায় চালু থাকা শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ১০০টি। এর মধ্যে আইসিইউয়ের জন্য ১৫টি বাদে শয্যা থাকে ৮৫টি। এ হাসপাতাল পূর্ণ হয়ে গেলে রোগীদের চিকিৎসার কী হবে—এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা ছিল স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্টদের। এ প্রেক্ষিতে নতুন হাসপাতাল খোঁজা শুরু হয় করোনা চিকিৎসার জন্য। এক্ষেত্রে এগিয়ে আসে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন। তাদের সহযোগিতায় বর্তমানে শহরতলির খাদিমপাড়াস্থ ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিলেটের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গেল ৯ জুন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিলেটের করোনা চিকিৎসা সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও কিডনি ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িতরা যুক্ত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কিডনি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট খাদিমপাড়া হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে করোনা চিকিৎসার জন্য কাজে লাগানো হবে। এ দুই হাসপাতাল মিলিয়ে শয্যাসংখ্যা হয় ৬২টি।
সিদ্ধান্তের পর হাসপাতল দুটিকে প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি আনা, অক্সিজেনের ব্যবস্থা করাসহ আনুষাঙ্গিক কাজ করা হয়েছে। ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হয়েছে হাসপাতাল দুটিকে। তবে এ দুই হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা থাকছে না।