শীর্ষ খবর
ব্যানার লাগিয়ে নেতা হওয়া যায় না, প্রয়োজন ত্যাগ-তিতিক্ষা : সিলেটে কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখন ব্যানার লাগাতে টোকাই লাগে। সবদিকে কেবল ব্যানার-ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। সামনে এক মুখ, ব্যানারে অন্য মুখ। তাই মনে রাখবেন, ব্যানার লাগিয়ে নেতা হওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ করতে হলে ত্যাগ-তিতিক্ষা করতে হবে। যারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেন, তারা সাবধান হয়ে যান। কারণ দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। সেই অভিযানের মাধ্যমে সবাইকে ধরা হবে। একইসঙ্গে মনোনয়ন বাণিজ্য চিরতরে বন্ধ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের জন্য সারা দুনিয়ার কাছে খ্যাতি লাভ করেছে। এদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। তাহলে দেশের উন্নয়ন আরও দ্রুতগতিতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে আগে বাঁচাতে হবে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগ একটি অন্যটির পরিপূরক। ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেলে তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়বো।’
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার ওপর দেশের মানুষ ভরসা রাখে। আমরা কখনও কারও সঙ্গে বেঈমানি করিনি এবং আওয়ামী লীগও কারও সঙ্গে কখনও বেঈমানি করেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়েছেন বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আওয়ামী লীগের পথচলা কখনও মসৃণ ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্নয়নবিরোধীদের অভিযোগের জবাব দেই।’
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন−আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন