আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

সোলাইমানিকে হত্যা : ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের আশংকা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। এই একটি মাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্ব রাজনীতি তো বটেই, গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এর ছায়া পড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র পাল্টে গেল। এ হত্যাকাণ্ড ট্রাম্পকে স্বস্তি দিলেও মধ্যপ্রাচ্যে রক্ত ঝরাবে।

এ হামলার উপযুক্ত জবাব দিতে মরিয়া হয়ে উঠবে ইরান; যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য চরম অস্বস্তির কারণ হবে। ইতোমধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ‘কঠিন প্রতিশোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন। ইরানের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড ঘিরে বদলে যেতে পারে ‘বিশ্ব রাজনীতির ভরকেন্দ্র’ মধ্যপ্রাচ্যের আগামীর দিনগুলো।

বাড়লো তেলের দাম, পতন শেয়ার বাজারে

ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলায়মানি নিহত হওয়ার জেরে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের প্রধান শেয়ার বাজারগুলোতে পতন দেখা দিয়েছে।

লন্ডন, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও প্যারিসের শেয়ার বাজার নিম্ন সূচক নিয়ে দিন শুরু করে। সেই সঙ্গে হংকংয়েও শেয়ারের দাম হ্রাস পায়। সাংহাইয়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আর জাপানের বাজার ছিল বন্ধ।

বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইরানের এলিট বাহিনী “কুদস ফোর্স” প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি বিমান হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনায় মার্কিন ও ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সোলাইমানি হত্যার জবাব ইরান কীভাবে দেবে তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে দেখা গেছে তেহরান তেলের জাহাজ জব্দ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটিয়েছে।

আরও সংবাদ

Close