শীর্ষ খবর
পুলিশ বাহিনী প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় পুলিশ সাহসিকতার ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে।’
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বিশেষ করে সড়ক নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ট্রাফিক পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জনগণ তাৎক্ষণিক সুবিধা পাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে পুলিশ জনগণের সেবায় আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে পেরেছে।’
পুলিশের উন্নয়নে সরকারের ব্যয়কে জনগণের স্বার্থে একটি বিনিয়োগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক দিকে থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটা ধরে রাখতে হবে। জাতির পিতা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত যেই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে গত কয়েক বছর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যে সফলতা দেখিয়েছে তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সফলতাও এসেছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’
পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি ১৪ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) দেওয়া হয়।