আজকের সিলেট
দেশের জনগণ গ্যাস পাচ্ছে না অথচ ভারতে বিক্রি হচ্ছে
আবরার হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নোমান হোসেন খন্দকারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবরার হত্যার পেছনে ছাত্রলীগের অতিমাত্রায় ভারতপ্রেম প্রেরণা জুগিয়েছে। ভারতের সঙ্গে কয়েকটি দেশবিরোধী চুক্তির সমালোচনা করায় আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিলেও বাংলাদেশকে তার ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না। ভারত আমাদের তিস্তার পানি দিচ্ছে না অথচ ফেনী নদীর পানি নিয়ে যাচ্ছে। ভারতের দুটি রাজ্য যখন কোনো বিনিময় ছাড়া একে-অপরকে কিছু দিতে রাজি হয় না, সেখানে বাংলাদেশ কোনো বিনিময় ছাড়াই ভারতকে আমাদের সব সম্পদ তুলে দিচ্ছে। একদিকে জনগণ বাসা-বাড়িতে গ্যাস পাচ্ছে না অন্যদিকে ভারতে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। ভারত সীমান্তে নিরপরাধ বাংলাদেশি হত্যা করছে। এই সরকার জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে না; তাই জনগণের অধিকার আদায়ে সচেতন নয়। ৩০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেখান থেকেই ব্যর্থতা শুরু।
ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বিশ্বজিতসহ আরও অনেক নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে বারবার হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনাগুলোর সঠিক কোনো বিচার হয়নি। সিলেটে নিজের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজের কর্মীদেরও হত্যা করেছে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুস সাকিব, আল মামুন সুজন, এসএম মনসুর, তাহসান খান, সালমান হোসেন, আলী হোসেন, ইমরান খান ও সাবিনা সেবিন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের চৌহাট্টা থেকে শুরু হয়ে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হলে হলে সন্ত্রাস, রুখে দাঁড়াও ছাত্র সমাজ’, ‘দিয়েছি রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘শিক্ষা, ছাত্রলীগ, একসঙ্গে চলে না’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ স্লোগান দেন।