শীর্ষ খবর

স্ক্যানার বিকল তাই থার্মোমিটারে চলছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা চলছে থার্মোমিটার দিয়ে। ভাইরাসটি শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না।

জানা গেছে, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানার বিকল হয়ে আছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে দেশের সব বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জ্বর পরিমাপের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই সময়ই ধরা পড়ে ওসমানী বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানার বিকল থাকার বিষয়টি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা ভাইরাস শনাক্তে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিস থেকে দুই জনকে পাঠানো হয়েছে। তারা একটি থার্মাল স্ক্যানার (আর্চওয়ে বা দরজার চৌকাঠের মতো দেখতে এক ধরনের যন্ত্র, যাতে জ্বর মাপা হয়) নিয়ে এসেছেন। কিন্তু স্ক্যানারটি বিকল। তাই এখন থার্মাল স্ক্যানারের কাজ সারা হচ্ছে থার্মোমিটার দিয়ে।

এদিকে, সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর, শেওলা ও জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে আসা পর্যটকদের পরীক্ষায় সাধারণ থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তামাবিল শুল্ক স্টেশনে দায়িত্বরত সহকারী সিভিল সার্জন ডা. রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২৮ জানুয়ারি থেকে শুল্ক স্টেশনে করোনাভাইরাস শনাক্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ৭ শত যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা নরমাল থার্মোমিটার ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তামাবিল স্থলবন্দর, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন ও শ্যাওলা শুল্ক স্টেশনের জন্য থার্মাল স্ক্যানার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে থার্মোমিটার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।

সিলেটের সহকারী সিভিল সার্জন ডা. রাশেদুল ইসলাম জানান, তামাবিল স্থলবন্দরে গেল ২৮ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস শনাক্তে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনও কেউ শনাক্ত হয়নি।

আরও সংবাদ

Close