শীর্ষ খবর

বাধা কাটলো : বাড়ছে ওসমানী বিমানবন্দরের আয়তন

সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজের জন্য আহ্বান করা দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় দরপত্র প্রক্রিয়ার পরবর্তী কার্যক্রম চালাতে আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগে আবেদনকারীদের আইনজীবী মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী।

একই সঙ্গে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিবসহ দু’জনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে রিট আবেদনকারী ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এম আমিন উদ্দিন ও মাহবুব শফিক।

আবেদনকারীরা জানায়, ওই কাজের জন্য ২০১৮ সালে দরপত্র আহ্বান করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি অংশগ্রহণকারীদের কারিগরি মূল্যায়ন করা হয়। তবে এই মূল্যায়নের বৈধতা নিয়ে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাইকোর্টে রিট করেন।

এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই দরপত্র প্রক্রিয়ার পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত করেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান আবেদন করেন। আবেদনটি আজ (বুধবার) চেম্বারজজ আদালতে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিলো।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিলেটের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাস করেন। বিদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দরের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র বেশিরভাগই সিলেটে। শিল্প-কারখানায় গ্যাস সংযোগ সহজলভ্য হওয়ায় সিলেটে শিল্প-কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর পাশাপাশি কার্গো মুভমেন্ট কয়েকগুণ বেড়েছে।

বর্তমানে এই বিমানবন্দরে ১২ হাজার ১০০ বর্গমিটারের একটি টার্মিনাল ভবন, ৭৫০ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, একটি রানওয়ে আছে। এর পাশাপশি দু’টি ট্যাক্সিওয়ে, চারটি ছোট ও দু’টি বড় প্লেন পার্কিং সুবিধাসহ এর শেড, দু’টি বোর্ডিং ব্রিজ, দু’টি এস্কেলেটর আছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহনে এগুলো যথেষ্ট নয়।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ও যাত্রী পরিবহনে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এই সমস্যা নিরসনেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হবে। ‘ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আরও সংবাদ

Close