আজকের সিলেট

তাদের কি হলো?

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৮১ সদস্যের কমিটিতে একটি সাংগঠনিক সম্পাদক, তিনটি সদস্যপদসহ আরও কয়েকটি সম্পাদকীয় পদ বাকি রেখে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কমিটি ঘোষণা করেন।

এখন পর্যন্ত নতুন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সিলেট বিভাগের ৪ নেতা। বিভাগের নেতাদের মধ্যে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক একজন এবং নির্বাহী সদস্য হয়েছেন দুজন।

২১ ডিসেম্বর ২১তম জাতীয় কাউন্সিল থেকে দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পান সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আগের কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে এবারও দলটির নীতিনির্ধারণী কমিটির সদস্য করা হয়। ওই দিন সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৪ নেতার নাম কোন পদেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অবশেষে বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো। এতে চমক দেখলো সিলেট। পদ বঞ্চিত ৪ নেতা- সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সদ্য সাবেক কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা ও মহানগর কমিটির সদ্য সাবেক দুই নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আসাদ উদ্দিন আহমেদের মধ্যে কেবল টিকে গেলেন কামরান। চমক দেখালেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

কিন্তু বাকি তিন জনের কি হলো? এ প্রশ্ন সিলেট আওয়ামী লীগের তৃণমূলে।

এক সময় সিলেট আওয়ামী লীগে ছিলেন ‘চার খলিফা’। দলের পদ হারানোর পর প্রয়াত হয়েছেন এই চার খলিফার দু’জন আ.ন.ম শফিকুল হক ও ইফতেখার হোসেন শামীম। আরেক খলিফা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ঘোষিত আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি মিসবাহ সিরাজের।

টানা তিন মেয়াদে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন মিসবাহ। এবার এখন পর্যন্ত এই পদেও নিয়োগ পাননি তিনি, যদিও এখনও একটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ খালি রেখেছে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলটি।

গত আট বছর ধরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। কর্মীবান্ধব হিসেবে পরিচিত এই নেতা সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে পদ হারান। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা আসাদ উদ্দিন আহমদকে সরানোতেও অবাক হয়েছেন অনেকে। এই দুই নেতাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মূল্যায়িত করা হবে এমন আশা ছিল তাদের অনুসারীদের। তবে এখন পর্যন্ত তারা মূল্যায়িত হননি।

তবে এখনো আশার প্রদীপ পুরোপুরি নিভে যায়নি। একটি সাংগঠনিক সম্পাদক, তিনটি সদস্যপদসহ আরও কয়েকটি সম্পাদকীয় পদ খালি রয়েছে। সিলেটের শীর্ষ এই তিন নেতার ভাগ্যে কি জুটছে তাই এখন সিলেটের রাজনীতি অঙ্গনের আলোচিত বিষয়।

এদিকে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া নাদেল কমিটি ঘোষণার রাতে প্রায় বারোটায় বঞ্চিত হওয়া আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের বাসায় যান। এ সময় সিরাজকে বুকে টেনে নেন নাদেল। পরে বঞ্চিত এ নেতা নাদেলকে মিষ্টি মুখ করান।

এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হলে রাজনীতিতে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত বলে অবিহিত করছেন অনেকেই।

এর আগে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের সাথে তাদের নিজ নিজ বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

আরও সংবাদ

Close