ব্রেইন ষ্ট্রোক করে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা মেধাবী ছাত্র রক্তিম করের পাশে দাড়িয়েছে দাতব্য সংস্থা ইষ্ট হ্যান্ডস।
গ্রীনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসী বিষয়ে মাষ্টার্স করে ২০১৭ সালে পিএইচডি পড়া ২য় সেমিষ্টার পরীক্ষার আগের রাতে ব্রেইন স্ট্রোক করেন হবিগন্জের মেধাবী ছাত্র রক্তিম কর ।
তিনদিন পর তাকে বাসায় নির্জীব অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মাথায় তিনটি জটিল অপারেশনের পর তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি কথা বলার শক্তি ও কর্মক্ষমতা হারান।
রক্তিম করের চিকিতসা ও দেখাশুনা করার জন্য তার মা, সোনালী ব্যাংকের রিটায়ার্ড ম্যানেজার শিল্পী চৌধুরী লন্ডনে থাকলেও ছেলের চিকিতসা ও থাকা খাওয়া ইত্যাদি দৈনন্দিন খরচে প্রায় নি:স্ব অবস্থায় রয়েছেন। এনএইচএস চিকিতসা সেবা ফ্রি দিলেও ঔষধ নিয়মিত কিনতে হয়। অসুস্থ মেধাবী ছেলের মায়ের এই সংগ্রাম বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরের ইংরেজী ভার্সন এডিটর বিশ্বদ্বীপ দাশের মাধ্যমে ইষ্ট হ্যান্ডস দাতব্য সংস্থার নজরে আসলে সংস্হাটি তাদের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা করে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নবাব উদ্দিনের ডাকে কমিউনিটির বেশ কিছু মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। ‘হ্যাল্প রক্তিম কর’ প্রজেক্টে আসা ডোনেশনের প্রথম ধাপের ১৫শ পাউন্ড তুলে দেয়া হয় ১৫ জুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বিশ্বদ্বীপ দাশ, আ স ম মাসুম, ইষ্ট হ্যান্ডস চ্যারিটির ট্রাষ্টি বাবলুল হক ও ইমরান আহমেদ।
রক্তিম করের মা শিল্পী চৌধুরী বলেন, এই কঠিন সময়ে যে সহযোগিতা পেয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে না তিনি বিদেশ বিভূইয়ে ছেলেকে নিয়ে একা সংগ্রাম করছেন। তিনি সকল ডোনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় বর্তমান পরিস্থিতির কারনে যোগ দিতে না পারা ইষ্ট হ্যান্ডস এর প্রতিষ্টাতা ও চেয়ারম্যান নবাব উদ্দিন টেলিকনফারেন্সে বলেন, আমরা শুধু উদ্যোগ নিয়েছি, কিন্তু কাজটি সহজ করেছেন আমাদের কিছু শুভান্যূধায়ী, বন্ধু যারা আমাদের সকল ভালো কাজের সাথে সব সময় সহযোগিতা করেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। রক্তিম করের মতো সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেধাবী একটা ছেলে আজ নিয়তির পরিহাসে যে অবস্থায় পড়েছে এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষনীয় অনেক কিছু রয়েছে।