শীর্ষ খবর

বাংলাদেশের রিজার্ভ ছাড়াল ৩৫ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৫ বিলিয়ন ডলার (সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার) ছাড়াল। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা।

প্রতি মাসের আমদানি ব্যয় বাবদ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ ধরলে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধপথে রেমিটেন্স আসছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও জাইকার বৈদেশিক ঋণসহায়তা ও বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। এর আগে ৩ জুন পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ রেকর্ড ৩৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। অর্থাৎ এক মাসে দু’বার রিজার্ভের রেকর্ড হল। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ডলার) রিজার্ভ অতিক্রম করেছিল। এরপর দীর্ঘদিন ৩১ থেকে ৩২ বিলিয়ন ডলারে ওঠানামা করে রিজার্ভ।

করোনাভাইরাসে লকডাউনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অনেক প্রবাসীর আয় বন্ধ হয়ে যায়। আবার অচলাবস্থার কারণে অনেকে দেশে অর্থ পাঠাতে পারেননি। এসব কারণে মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যায়। কিন্তু ঈদের কারণে মে মাসে রেমিটেন্স কিছুটা বাড়ে। এ মাসে ১৫০ কোটি ৩৪ লাখ ডলার দেশে পাঠান প্রবাসীরা।

আরও সংবাদ

Close