আজকের সিলেট
জনবল নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে জালালাবাদ গ্যাসের এমডি’র কার্যালয় ঘেরাও
অনিয়মের মাধ্যমে আউটসোর্সিয়ে জনবল নিয়োগের প্রতিবাদে জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সর্বস্তরের কর্মচারীরা।
আজ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘেরাও, অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে সর্বস্তরের কর্মচারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলাকারী আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু তালেবের প্রতিষ্ঠানকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগের প্রতিবাদে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
রোববার সকাল ১১টায় অফিসে আসেন আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু তালেব। এসময় তাকে দেখা মাত্রই সকল কর্মচারীরা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তিনি চলে যান।
জালালাবাদ গ্যাসের কর্মচারীরা জানান, ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ নিয়োগ বাতিল না করা হলে বৃহৎ আকারে আন্দোলন করা হবে। বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেডের কোন লোককে কাজে না লাগানোর দাবি জানান এমডিকে।
গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু এই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাই ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, সিলেটে জালালাবাদ গ্যাসে জনবল নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ অনিয়মে নাম ওঠেছে আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু তালেবের। আবু তালেব ফেনি জেলার পরশুরাম উপজেলার বাসিন্দা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা ও নাশকতা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০-৩৫টি মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবরাহের দরপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল না করলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছেন সিলেট জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অভিযোগ ওঠেছে, জালালাবাদ গ্যাসের শীর্ষ কর্তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বিতর্কিত আল আরাফাত সার্ভিসেস (প্রা.) লিমিটেড নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি। ওই প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ও নানা অভিযোগ থাকার পরও অন্যান্য শীর্ষ ও নামী প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে অনিয়ম করে আরাফাতকে জনবল নিয়োগের দায়িত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২৫৪ জন লোক নিয়োগে একাধিক স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান থাকার পরও কীভাবে বিতর্কিত এ প্রতিষ্ঠান কাজ পায় এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অন্য ঠিকাদাররা।