আজকের সিলেট
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের প্রচেষ্টায় ফের চালু হচ্ছে সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের প্রচেষ্টায় ফের চালু হতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট। কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট না থাকা যাত্রীদের জন্য সিলেটে আইসোলেশনেরও ব্যবস্থা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। করোনা পরিস্থিতির আগে লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট এসে নামত সিলেটে।
সিলেটের যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাকি যাত্রীদের নিয়ে ফ্লাইট যেত ঢাকায়। কিন্তু করোনা সংকটে গত প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় লন্ডনের সঙ্গে ফ্লাইট চালু হলে বাতিল হয়ে যায় লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট। সিলেটের যাত্রীদের প্রথমে ঢাকায় নামিয়ে পরে পাঠানো হতো সিলেটে। সম্প্রতি বিমানের পক্ষ থেকে সিলেটের যাত্রীদের ঢাকায় ইমিগ্রেশন করে লাগেজ সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি ও সিলেটে আইসোলেশন সেন্টার না থাকার অজুহাত দেখিয়ে বিমান এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিমানের এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট চালুর দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সিলেটেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও সিলেটের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট চালুর দাবি জানানো হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফের লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।এ সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটের বিশ্বনাথের বাসিন্দা আঙ্গুর মিয়া মুঠোফোনে জানান, আগামী মাসে তিনি সপরিবারে দেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিলেটের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং ঢাকায় ইমিগ্রেশনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় তিনি দেশে ফেরার চিন্তা বাদ দিয়েছিলেন। এখন নতুন করে লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হওয়ায় তিনি দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।