শীর্ষ খবর

স্বামীর সাথে ঝগড়ার জেরে নিজ কন্যাকে খুন করেছিলেন নাজমিন

স্বামীর সাথে কলহের জের ধরে বালিশ চাপা দিয়ে নিজ শিশু কন্যাকে খুন করেছেন পাষন্ড মা নাজমিন জাহান। পুরো তিন মিনিট ১৭ মাসের শিশু কন্যা নুসরাত জাহান সাবিহার মুখে বালিশচাপা দিয়ে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। পুলিশের দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন নাজমিন।

গত বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নাজমিনকে আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। তবে ৩ দিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের প্রথম দিন শুক্রবারই সব কিছু স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। যে কারণে আর বাকি দুইদিন রিমান্ড প্রয়োজন হয়নি। তাই শনিবার নাজমিনকে আদালতে প্রেরণ করলে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন ভূঁইয়া তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

স্বামীর প্রতি ক্ষোভ ও নানা অভিযোগ ছিলো সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাদেপাশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. জিয়া উদ্দিনের মেয়ে নাজমিনের। স্বামীর কাছ থেকে ‘অযত্ন, অবহেলা আর অপবাদ’ পাওয়ার অভিযোগ তার। সে ক্ষোভ উগড়ে দেন নিজের ১৭ মাস বয়েসি শিশুসন্তান নুসরাত জাহান সাবিহার উপর। গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে সাবিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু নুসরাত জাহান সাবিহার বাবা সাব্বির আহমদ সিলেট দক্ষিণ সুরমার বলদি এলাকার বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী। সম্প্রতি সাব্বির দেশে ছুটিতে এসেছেন। কিন্তু সাব্বিরের সঙ্গে নাজমিনের বনিবনা না থাকায় তিনি (নাজমিন) শাহপরাণ এলাকার নিপোবন-৪৯ এ আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সঙ্গে তার ছোট বোন ও আগের স্বামীর ঘরের ১১ বছরের এক সন্তান থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে বুধবার বেলা ২টার দিকে ১৭ মাস বয়েসি শিশু সাবিহার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন নাজমিন। এসময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে নাজমিনের কবল থেকে তার বোন ও প্রতিবেশী এক মহিলা শিশুটিকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবিহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় হাসপাতাল থেকে নাজমিন পালাতে চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আরও সংবাদ

Close