আজকের সিলেটহবিগঞ্জ
কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের আরো ৩ জন হবিগঞ্জের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উদয়ন এক্সপ্রেস এবং তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬ জনের মধ্যে আরো তিন জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হবিগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা দুর্ঘটনায় নিহতদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তাদের মধ্যে সিলেট বিভাগের ৯ জন রয়েছেন। এরমধ্যে কেবল হবিগঞ্জের রয়েছেন ৮ জন ও মৌলভীবাজারের একজন।
হবিগঞ্জের ৮ জন হলেন- হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মোঃ ইউসুফ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত, গোপায়া গ্রামের রিপন মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আল-আমিন, বড়বাজার গ্রামের সোহেল মিয়ার শিশু মেয়ে আদিবা, চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের রুবেল মিয়া তালুকদার, পীরেরগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নজরুল মিয়া।
এছাড়া জাহেদা খাতুন (৩০) নামে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের এক নারী মারা গেছেন। তারা সবাই উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত বাকিরা হলেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাবাজগাঁও মুজিবুল রহমান (৫৫), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫), চাঁদপুরের কুসসুম বেগম (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩)।
উল্লেখ্য সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথার মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও তূর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখে ছিল। মন্দভাগ রেল স্টেশনের কাছে ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ১৬ জন নিহত হন। আহত হন অনেকে।
আরও খবর- >> কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জন সিলেটের