আজকের সিলেট
স্বাস্থ্যবিধি ভেঙেছেন মেয়র আরিফ : আতঙ্কে সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা
করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেওয়ার পর থেকে হোম কোয়ারেন্টিন থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানেননি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সকালে করোনা শনাক্তের নমুনা জমা দেওয়ার পর দুপুরে তিনি একটি বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠানের আহ্বানে নগরের একটি হোটেলে মধাহ্নভোজে অংশ নেন। এরপর বিকেলে নগরভবনে উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সভায়ও অংশ নেন। যেখানে নগরভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এসব অনুষ্ঠানেও স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়র ও সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের করোনা শনাক্তের খবর জানার পর থেকে এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, দুদিন আগে জ্বর ও সর্দি হওয়ার বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা জমা দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। একইসাথে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানও নমুনা জমা দেন। ওই রাতে আসা রিপোর্টে তাদের দুজনেরই করোনা পজিটিভ আসে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, করোনা নমুনা জমা দিয়ে সিটি নগর ভবনে আসেন মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলী। তারা নগরভবনের দৈনন্দিন কাজে অংশ নেন। এরপর দুপুরে আবাসন প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের আহ্বানে নগরের দরগাহ গেইট এলাকার একটি হোটেলে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। এতে সিসিক ও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও সিলেটে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বিকেলে নগর ভবনে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ‘সিলেট নগরীর উন্নয়ন প্রকল্প’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন মেয়র আরিফ ও প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজ।
এ অনুষ্ঠানে সিসিক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আনম মনছুফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রমজানুল হক নিহাদ, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও চীফ মার্কেটিং অফিসার তানভীরুল ইসলামসহ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। শুক্রবার তিনি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আমি জানতাম না তিনি (মেয়র) করোনা পরীক্ষার নমুনা জমা দিয়ে এসেছেন। নমুনা দিয়ে এলে তার অবশ্যই এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া উচিত হয়নি। এখন আমাদের সবাইকে তিনি ঝুঁকিতে ফেলে দিলেন। দায়িত্বশীল মানুষরা যদি সচেতন না হই তাহলে সাধারণ জনগণ কিভাবে সচেতন হবে।