শীর্ষ খবর
এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা : হাইকোর্টের রুল
সিলেটের এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এছাড়া গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সিলেটের নারী ও শিশু আদালতের বিচারকসহ ৩ জনকে যৌথ তদন্তের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের সময় কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। সন্ধ্যার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম।