আজকের সিলেট
সিলেটে ৬১৪১৭ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর উদ্যোগ
সিলেট নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে মিলে মোট ৬১৪১৭ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এ লক্ষ্যে মোট ২৪৭ টি টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সিসিকের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবার করোনার কারণে বিশেষ কিছু পদ্ধতি পালন করা হবে। কোন শিশুর বা অভিভাবকের উপসর্গ থাকলে তাকে টিকাকেন্দ্রে না আসতে বারণ করা হবে। সকল রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মাস্ক পরে যাতে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে আসেন সে লক্ষ্যে পুর নগরীতে মাইকিং করা হবে।
এতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিদের নির্ধারিত তারিখে স্থানীয় টিকাকেন্দ্রে নিয়ে এসে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর আহ্বান করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু হাত দিয়ে ক্যাপস্যুলগুলো খাওয়ানো হবে সে ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার চাওয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা দেয়া না হলেও সাবান দেয়া হয়েছে। তবে সিসিকের পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা করা হবে যাতে প্রতি শিশুকে স্পর্শ করার পর অন্য শিশুকে স্পর্শ করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হাত স্যানিটাইজ করে নেন।
এসময় ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস নিয়ে অনেক সময় গুজবের তৈরি হয়। কিন্তু এতে কান দেয়ার এবং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ কোন শিশু যদি এক সাথে ১০ টি ক্যাপস্যুল খায় তবুও তার বড়জোর বমি বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। এগুলো ইউনিসেফের পরীক্ষা করা ক্যাপস্যুল। তাই আপনারা কোন কারণে ভয় পাবেন না।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী সহ সিলেট প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাব ও ইমজার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।