সারা বাংলা
প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর অন্যত্র বিয়ে : গায়ে হলুদে পুলিশের হানা, আটক বর
প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণের পর অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ইসতিয়াক আহমেদ নামক এক ব্যক্তি। এক তরুণীর সাথে তার চার বছরের প্রেম। এই সূত্রে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। এক সময় ওই তরুণী বিয়ের কথা বলে। কিন্তু ইসতিয়াক তাকে জানায় তার পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিবে না। বরং তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে।
আজ শুক্রবার ইসতিয়াকের বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গায়ে হলুদের মঞ্চ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয় ইসতিয়াক। আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে যায় সে।
এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায়। গ্রেফতারকৃত ইসতিয়াক ওই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।
বাদী অভিযোগ করেন ইসতিয়াকের সাথে তার চার বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমিক ইসতিয়াক দৈহিক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেওভোগ নাগবাড়ীর জিকুদের চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রেমিক ইসতিয়াক আহম্মেদের ভাড়া বাসায় তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে ওই তরুণী বিয়ের কথা বললে ইসতিয়াক নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপণ করে অন্যত্র বিয়ে করার পাঁয়তারা করে। এদিকে গত বুধবার সে জানতে পারে ইসতিয়াক অন্যত্র বিয়ে করছে। পরে বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে সে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
তবে প্রেমিক ইসতিয়াকের দাবি, ওই মেয়ের সাথে তার গত তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ তিন বছরে প্রেমিকার নিজ বাসায় উভয়ের সম্মতিতে দুই বার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। ইসতিয়াক তাদের সম্পর্কের বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়। কিন্তু বিষয়টি তার বাব-মা মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং তার অনত্র বিয়ে ঠিক করে। বিষয়টি সে তার প্রেমিকাকে অবগত করে। বৃহস্পতিবার ছিল তার গায়ে হলুদ আর শুক্রবার বরযাত্রী।
ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ইসতিয়াককে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।