শীর্ষ খবর

খুনীদের ফাঁসি হোক, না হয় আমাকেও মারা হোক : অনশনে রায়হানের মা

‘আমার বুকের ধন একমাত্র ছেলে রায়হানকে কেড়ে নিয়েছে ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর ও তার সহযোগীরা। বর্বরোচিতভাবে নির্যাতন করে আমার ছেলেকে হত্যা করেছেন তারা। আমি এ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আর না হয়, আমার ছেলেকে মেরেছে, আমাকেও গুলি করে মারা হোক।’- এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের মা।

সিলেটে ছেলে হত্যাকারী পলাতক এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে অনশনে বসেছেন নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আত্মীয়স্বজনসহ আরও অনেকে।

রোববার বেলা ১১টা থেকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ আমরণ অনশনে বসেন তারা।

রায়হান হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন স্লোগানে আজ রোববার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিলেটের বন্দর বাজার। বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমবেত হয়ে মিছিল সহকারে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ফটকে ঘেরাও করেন।

এসময় নিহত রায়হানের মা সালমা বেগমের হাতে দেখা যায় প্লেকার্ড। যেখানে লেখা ‘আমার ছেলে কবরে, খুনি কেন বাহিরে’।

তার সাথে থাকা অন্যরা ফেস্টুন প্রদর্শন করে বলেন, বোন বলে ডাকবে কে? আমার ভাইকে ফিরিয়ে দেয়, ফাঁসি দিয়ে প্রমাণ করো পুলিশ নয়, জনগণ বড়।

সকাল ১১টা থেকে অনশনে মায়ের সাথে রয়েছেন, তার চাচা-চাচী, মামা, খালা, আত্মীয়স্বজনসহ আখালিয়া এলাকাবাসী।

তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারী এসআই আকবরকে না ধরা পর্যন্ত আমি এখানেই অবস্থান করব। এ কর্মসূচি কোনো দলীয় কর্মসূচি নয়। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সালমা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে এ ফাঁড়িতে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আজ ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এসআই আকবরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এ ছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকা আকবরের সহযোগীদেরও গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এসআই আকবর ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি রায়হানের মায়ের।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে (৩৩)। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রোববার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

আরও সংবাদ

Close