আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর
জনগণের ভোটে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও জেতবেন ট্রাম্প
আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কে হতে চলেছেন আমেরিকার ৫৯তম রাষ্ট্রপতি, এনিয়ে শুধু আমেরিকায়ই নয়, গোটা বিশ্বেই চলছে তুমুল জল্পনা।
আবার কি ডোনাল্ড ট্রাম্পই ধরছেন আমেরিকার হাল, নাকি আসছেন জো বাইডেন? আবার রিপাবলিকান, নাকি এবার ডেমোক্র্যাট? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা আর মাত্র একদিন।
করোনা আবহের মধ্যেও বিশ্ববাসীর নজর আমেরিকায়। ভোটে যেমন অন্যতম ইস্যু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, ভোটের জনসভা, বিতর্কসভা এবং অন্যান্য জমায়েতের কারণে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন বিস্তর। তবু আমেরিকায় চার বছর অন্তর নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পর মঙ্গলবারের ভোটের রীতিতে কিন্তু বদল হয়নি এবারও। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, সংখ্যাতত্ত্ব-পরিসংখ্যান নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিবিসির সমীক্ষা বলছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ৫২ শতাংশের মতো পপুলার ভোট বা সরাসরি জনগণের ভোটে এগিয়ে রিপাবলিকান ট্রাম্পের চেয়ে। অন্যান্য প্রায় সব সমীক্ষাতেও ইঙ্গিত তেমনই। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। আসল যুদ্ধ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে। তাতে যিনি ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারবেন, শেষ মুহূর্তে বাজিমাত হবে তাঁরই।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একটা কথা খুব প্রচলিত— কত ব্যবধানে জিতছেন, সেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কোথায় জিতছেন। ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট বেশি এমন রাজ্যগুলি হয়ে ওঠে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ট স্টেট’। তাই পপুলার ভোট বেশি পাওয়ার অর্থই যে সেই প্রার্থী জিতে যাবেন, এমন ধরে নেওয়া যায় না। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইতিহাসে এমন নজির বহু রয়েছে। শেষ তম উদাহরণ হিলারি ক্লিন্টন। ২০১৬ সালের নির্বাচন। হিলারির চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও শেষ পর্যন্ত ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে বাজি জিতে নেন ট্রাম্প।
এর কারণ লুকিয়ে রয়েছে আমেরিকার জটিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির মধ্যে। কেমন সেই পদ্ধতি? সাধারণ মানুষের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট। প্রথমে জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি ভোট দেন ভোটাররা। সেই প্রক্রিয়া প্রায় এক বছর ধরে চলে। ব্যালট পেপারের ক্ষেত্রেও এক একটি রাজ্যের জন্য় নিয়ম আলাদা। কিছু রাজ্য আছে, যেখানে শুধু রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির নামই থাকে। আবার রাজ্যের প্রতিনিধিদের নামও ব্যালটে থাকে অনেক রাজ্যে। জনগণের এই সরাসরি ভোটকে বলা হয় পপুলার ভোট।