শীর্ষ খবর

সত্তর দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত : বাংলাদেশও কি দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে?

দেশে একদিনে করোনা শনাক্তের সংখ্যা হঠাৎ বাড়ছে। ৭০ দিনের মধ্যে আজ সোমবার সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে ২ হাজার ১৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬৮টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬২টি।

একই সময়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন  আরও ১ হাজার ৬০৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ১৪৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮২ শতাংশ।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, এর আগে সর্বশেষ গত ০৭ই সেপ্টেম্বর ২ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেদিন আক্রান্ত হয়েছিল ২২০২ জন। ওই দিন মারা গিয়েছিল ৩২ জন। সেদিন পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ১৪.৩%। আর আজ এই হার ১৩.৫৭%। এর আগে চলতি মাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল ১২ই নভেম্বর। সেদিন ১৮৪৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছিল।

শীতকাল আসার পরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছে। বাংলাদেশেও শীত আসছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার। তবে কি বাংলাদেশও দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়তে যাচ্ছে?

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশে শীতকালে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে।

পরবর্তী দিনগুলোতে অনেক বিশেষজ্ঞই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেণ্ড ওয়েভ দেখা দেবে এই শীতকালেই।

এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরণের প্রস্তুতির কথাও জানানো হয়েছিল। যার মধ্যে একটি ছিল মাস্ক পড়তে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা। এর আওতায়ই নো মাস্ক নো সার্ভিসের মতো কর্মসূচী পরিচালনা করা হয়।

এমনকি বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় মাস্ক না পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মানুষকে জেল-জরিমানার মতো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়।

আরও সংবাদ

Close