আজকের সিলেট

ওসমানীনগরে বাস চাপায় প্রবাসীর মৃত্যু : সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

ওসমানীনগরে বাস কেড়ে নিল এক প্রবাসীর প্রাণ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পাশাপাশি ঘাতক বাসটি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।

আজ বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চান মিয়া উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের নিজ করনসী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার পরপর বিক্ষুব্ধ মহাসড়ক অবরোধসহ ৫টি বাস ভাঙচুর করে এবং দুর্ঘটনা কবলিত বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। বেপরোয়া গতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চান মিয়া তার নববিবাহিতা স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোয়ালাবাজারে আসেন। বাজার শেষে যাত্রী ছাউনির সামনে দাঁড়িয়ে এসে দাঁড়ান। এসময় শেরপুরগামী বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বিরতিহীন বাস (ঢাকা মেট্রো-জ- ১১-২২৬৪) একটি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশাকে চাপা দিয়ে তাদের উপর তুলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান চান মিয়া। আহত অবস্থায় করণসী গ্রামের চুনু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত চাঁন মিয়া প্রায় এক মাস পূর্বে দেশে এসে গত ২৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন।

এলাকাবাসী জানান, লোকাল বিরতিহীন বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে না পৌঁছালে জরিমানা গুণতে হয়। যাত্রী উঠানোর কাজে সিলেটের ৩টি স্থানে দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পর সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। এছাড়া এই গাড়িগুলো গোয়ালাবাজার, তাজপুরসহ বিভিন্ন বাজার এলাকায় মহাসড়কের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে আসলেও বিষয়টি দেখা কেউ নেই।

ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তা নিয়ন্ত্রণের আনতে সক্ষম হই।

আরও সংবাদ

Close