সারা বাংলা

বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নাটোরের উত্তরা গণভবন ও রাণী ভবানী রাজবাড়ি পরিদর্শন শেষে নাটোর সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। শনিবার ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে দেশ দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সর্বাধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনেও আমরা অগ্রগামী। গত ১১ বছরে দেশের দারিদ্রসীমা অর্ধেক হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আরো পাঁচ শতাংশ হ্রাস পাবে। পর্যায়ক্রমে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ উন্নয়নের পথ পরিক্রমায় ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর চিরকাঙ্ক্ষিত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

বাংলাদেশ গড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অর্থনৈতিক কূটনৈতিকসফলতার কারণে অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাটোরের জেলাপ্রশাসক মো. শাহরিয়াজ মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল ও নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত সচিব মো. শামসুল হক, মো. সাব্বির আহমদ চৌধুরী ও সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফএম বোরহানউদ্দিন, খন্দকার মো. তালহা, মো. নজরুলইসলাম, মো. তারিকুলইসলাম, মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ ও মেহেদী হাসান।

বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সকলের সাথে বৈরীতা পরিহারকরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের লক্ষ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সুফল অর্জন করা। করোনাকালীন স্থবির সময়ে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ থেকে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি রফতানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ লাখ পিপি পাঠানো হয়েছে।

আরও সংবাদ

আরও দেখুন

Close
Close