গাফিলতি ও আকবরকে সহযোগিতার দায়ে তিন পুলিশ বরখাস্ত

বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে নির্যাতন ও তার মৃত্যুর ঘটনায় এবার আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতি ও এসআই আকবরকে পলায়নে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

তারা হলেন, কোতোয়ালী থানার সদ্য বদলি হওয়া ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল বাতেন ও এএসআই কুতুব আলী।

এ নিয়ে রায়হান হত্যায় মোট ৯ জনকে বরখাস্ত করা হল। নতুন বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে বাতেন ও কুতুব আলী এসএমপিতে কর্মরত থাকলেও সৌমেন রংপুর জেলা পুলিশে রয়েছেন।

উল্লেখ্য গত ১১ অক্টোবর রাতে নগরীর নেহারীপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ধরে এনে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হলে তিনি মারা যান। ঘটনার পরদিন ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করে নেয় এসএমপি। পরবর্তীতে এসএমপি আরও দুইজনকে বরখাস্ত করে। আকবর পলাতকের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর ইন্সপেক্টর সৌমেনকে এবং ১৮ নভেম্বর এসআই বাতেন ও এএসআই কুতুব আলীকে বরখাস্ত করা হয়।