শীর্ষ খবর
৪৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই করা হবে
সারাদেশে ৪৩ হাজার বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধার সনদ পুনরায় যাচাই-বাছাই শুরু হচ্ছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে জেলা ও মহানগরে এই কার্যক্রম শুরু হবে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়াই যেসব মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে সনদ নিয়েছিলেন মূলত এরকম ৪৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই হবে। এসব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে এখন সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই অন্তে জামুকার অনুমোদনক্রমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যদি কেউ থাকেন তাদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
যাচাই কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর প্রতিনিধি, জামুকার প্রতিনিধি, সংসদ সদস্য কর্তৃক প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক নির্বাহী কর্মকর্তা বা এডিসি থাকবেন। স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে এই যাচাই-বাছাই নিষ্পন্ন করতে হবে। এভাবে বিস্তারিতভাবে জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাকে যেসব তথ্য দিতে হবে—পিতা-মাতাসহ নিজ নাম, বেসামরিক গেজেট নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময়কাল, মুক্তিযুদ্ধের আগেকার ভূমিকা, প্রশিক্ষণ গ্রহণের স্থান, অস্ত্র পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য, কী কী অস্ত্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং তারিখ, কোন কোন জায়গায় সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডারের নাম, সেকশন কোম্পানি প্লাটুন কমান্ডার কে ছিলেন, কোথায় কী ধরনের অস্ত্র সপর্মণ করেছেন, সেক্টর ও কমান্ডারের নাম, ভারতে ট্রেনিংরত অবস্থায় দেশ স্বাধীন হলে পরবর্তী ভূমিকা কী ছিল। ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তায় নাম রয়েছে এমন তিন জন সহযোদ্ধার প্রত্যয়ন।
কেনো এই উদোগ : নতুন করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ইত্তেফাককে বলেন, লাল মুক্তিবার্তায় নাম না থাকা, ভারতীয় তালিকায় নাম না থাকা এবং জামুকার সুপারিশ ছাড়া যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের চিহ্নি??ত করে বাদ দিয়ে একটি পরিশুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করাই এর উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, যারা দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা হবেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ মানুষ, সাংস্কৃতিক-সামাজিক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও থাকবেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৭ (ঝ) ধারা অমান্য করে সনদ নিয়েছেন তারা অবশ্যই বাদ পড়বেন।