সিলেটের টুকরো খবর
মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : মেয়র আরিফ
আজকের সিলেট প্রতিবেদক: সিলেটে নগরীতে মশক নিধন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষ্যে র্যালী বের করেছে সিটি কর্পোরেশন।
আজ বৃহস্পতিবার নগর ভবন থেকে বের হওয়া র্যালীটি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা হয়ে আবুসিনা ছাত্রাবাস, সদর হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এসময় ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরে তিনি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী ও চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি সিসিকের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগের ঔষধ ক্রয়ের জন্য নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেন। পরে মেয়র হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আশপাশ ঘুরে দেখেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নগরবাসী ও নগরের ব্যবসায়ীদের সর্তক ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন করে বলেন, মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যেমে সিলেট নগরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করবো, এজন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলেই আমরা পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে পারবো।
মেয়র বলেন, নিজের বাসা-বাড়ি যেমন ঝকঝকে রাখেন, তেমননি নগরকেও ঝকঝকে রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। নির্ধারিত স্থানে ও ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা সংরক্ষণ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা এসে সেসব ময়লা-আবর্জনা নিয়ে যাবে।
সিসিকের নাগরিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, বাড়ির আশেপাশে কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে আমাদের চালু করা হটলাইনে আপনারা কল দিয়ে জানাবেন। তাহলে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে পরিষ্কার করে দেবে। বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখায় যোগাযোগ করতেও বলেন তিনি।
র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: হিমাংশু লাল রায়, কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু, মহিলা কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনা, শাহানারা বেগম শানু, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, এসএমপি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইসমাইল মিয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, আব্দুল আজিজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, কর কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন, এসেসর চন্দন দাশ, ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা, সিডিসি নেত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।