আজকের সিলেট

ডা. জামিলা করতেন নির্যাতন, ছেলে যৌন হেনেস্তা : নিহত গৃহকর্মীর বাবার মামলা

সিলেটের আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকার চিকিৎসক দম্পতির বাসায় কিশোরী জান্নাত আক্তার রিনার (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে বিচারক অভিযোগটি কোতোয়ালি থানার ওসিকে ৩ দিনের মধ্যে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

মামলায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পাশাপাশি কিশোরী জান্নাত আক্তার রিনাকে যৌন হেনেস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত চিকিৎসক দম্পতির ছেলে তাহসান।

নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা আব্দুল মালিক। তিনি কোম্পানীগঞ্জের বাতুমারা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তাহসান ও জামিলা খাতুন বাসার কোনও কাজে ভুল হলে রিনাকে মারধর করতেন। এছাড়াও অন্যরা তাদের পক্ষ নিয়ে তাকে নির্যাতন করতো। মামলার আসামি তাহসানের কুদৃষ্টি ছিল রিনার ওপর। মামলার ১১ নম্বর সাক্ষী শিরিনা বেগম বাদীকে জানান, রিনা জীবিত অবস্থায় চিকিৎসক দম্পতির ছেলে তাহসান তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদ করায় আসামিদের নির্যাতনে বাদীর মেয়ের মৃত্যু হয় বলে এজাহারে উল্লখ করা হয়েছে।

এদিকে মামলা দায়েরের খবর শুনে আসামীরা পালিয়ে গেছেন। সেই সাথে ডা. ওয়েছ আহমদ চৌধুরী, তার স্ত্রী জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. জামিলা খাতুনও কর্মস্থলে যাচ্ছেন না বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার সিলেট অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।

আসামিরা হচ্ছেন, সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ওয়েছ আহমদ চৌধুরী, তার স্ত্রী জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. জামিলা খাতুন, ছেলে তাহসান, মেয়ে তাসকিয়া বেগম ও গোয়াইনঘাটের আঙ্গারজুর লামাপাড়া গ্রামের হাসনা বেগম। মামলায় ১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

আরও সংবাদ

Close