আজকের সিলেটহবিগঞ্জ

শালিকার পর ভাগনির সাথেও অবৈধ সম্পর্ক : ধামাচাপা দিতে খুন

শালিকার সাথে দীর্ঘদিন পরকিয়ার পর ভাগনির সাথেও জড়িয়ে পড়ে অবৈধ সম্পর্কে। কিন্তু শালিকা বিষয়টি বুঝতে পেরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ফলে দুলাভাই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে খুন করে শালিকাকে। খুনের বিষয়টি আত্মাহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শ্বশুড়ের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।

ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা গ্রামে। গ্রেপ্তারকৃত লম্পট দুলাভাইয়ের নাম সুহাগ মিয়া (৩০)।  বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ঘাতক সুহাগ। সে হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে।

জবানবন্দীতে সুহাগ আদালতকে জানিয়েছে, ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুর ছাতিরের মেয়ে ছিতারাকে বিয়ে করে সুহাগ। বিয়ে পর সুহাগ তার শশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল। দাম্পত্য জীবনে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান (শাওন) রয়েছে তার। বছরখানেক আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ছিতারা সৌদি আরব চলে যান। এ সময় সুহাগের অবুঝ শিশুকে দেখাশোনা করতেন শালিকা জুনেরা খাতুন (১৯)। সেই সুবাধে শালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুহাগের। সম্পর্কের কারণে জুনেরার একাধিক বিয়েও ভেঙে দেন সুহাগ।

এদিকে, সুহাগের স্ত্রীর বড় বোনকে বিয়ে দেয়া হয় পাশের জিকুরা গ্রামে। তার ১৬ বছর বয়সি মেয়ে প্রতিদিন নানার বাড়িতে অসুস্থ্য নানীর কাছে ঘুমাতে আসে। সেই সুবাধে তার সাথেও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন সুহাগ।

বিষয়টি বুঝতে পারে শালিকা জুনেরা। এ নিয়ে সুহাগ ও জুনেরার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনেরা সবকিছু ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিলে গত মঙ্গলবার রাতে সুহাগ তার শালিকার গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে হত্যা করে। পরে এই হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পারেন সুহাগের শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা চুনারুঘাট থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সুহাগকে একমাত্র আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন শ্বশুর আব্দুল ছাতির। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুহাগকে আটক করে।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক ধাম বলেন, ‘সুহাগ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিহত জুনেরার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও সংবাদ

Close