Uncategorised
বাড়ছে সিলেটের সব নদীর পানি : প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
সিলেটে সব নদীর পানি কেবল বাড়ছেই। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটে এক মাসের ব্যাবধানে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এ তিন উপজেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
অন্যদিকে, সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ০.১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কাল সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ০.১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এ পয়েন্টে প্রবাহিত হয় পানি।
এদিকে, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টেও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১০.১১ সেন্টিমিটার। আজ শনিবার একই সময়ে পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ১০.৫৪ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর পানির উচ্চতা আমলশিদ পয়েন্টে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৪.৪৩ সেন্টিমিটার ছিল। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উচ্চতা বেড়ে হয়েছে ১৪.৮৩ সেন্টিমিটার।
শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারার পানির উচ্চতা আজ সন্ধ্যায় ছিল ১২.১৫ সেন্টিমিটার। গতকাল একই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১১.৭০ সেন্টিমিটার।
আর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানির উচ্চতা কাল ছিল ৯.১২ সেন্টিমিটার, আজ সন্ধ্যা ৬টায় হয়েছে ৯.২৪ সেন্টিমিটার।
এদিকে, কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি গতকালের ১৪.৮২ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে আজ সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েছে ১৫.০০ সেন্টিমিটার।
পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সারী-গোয়াইনঘাট ও রাধানগর-গোয়াইনঘাট এবং সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়ক পানিতে তলিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।এসব সড়কের উপর দিয়ে কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং সারী, গোয়াইন, ডাউকি, ও পিয়াইন নদী দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল পর্যন্ত যা বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা-বাগান, মমিনপুর, আসাম পাড়া, আসাম পাড়া হাওর, ছৈলাখেল অষ্টম খণ্ড (আংশিক এলাকা) নবম খণ্ড, সানকি ভাঙ্গা, নয়াগাঙের পাড়, বাউরবাগ হাওর, ভিত্রিখেল হাওর, আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দার হাওর, তিতকুল্লিহাওর, বুধিগাঁও হাওর, রাজবাড়ি কান্দিসহ পশ্চিম জাফলং, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাটসহ বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।