শীর্ষ খবর
আইন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান আদায় করা যায় না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) ইউনেস্কোর মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশ ও জাতিসংঘভুক্ত দেশ উদযাপন করছে। কে মানল আর কে মানল না তার জন্য বাঙালি জাতি বসে থাকেনি, থাকবে না। তারা (বিএনপি) যদি সম্মান দেখাতে না চায়, কী করার আছে। আইন দিয়ে সম্মান আদায় করা যায় না।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুজিববর্ষ উদযাপনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ এর পর থেকে ২১ বছর ধরে জাতির পিতার নাম নিশানা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৭ই মার্চের ভাষণের জয়বাংলা স্লোগান এবং শেখ মুজিবের নাম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাংলার মাটিতে। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে বা বাধা দিয়ে রাখা যায় না, মুছে ফেলা যায় না, সেটা আজ প্রমাণিত সত্য। এজন্যই ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ হচ্ছে আড়াই হাজার বছরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।’
মুজিববর্ষ পালনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে সম্মান দেবে, কে দেবে না। বঙ্গবন্ধুকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল সেই খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে তাদের যারা পুরস্কৃত করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধে যাদের বিচার শুরু হয়েছিল বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পদ দিয়েছে বা সাত খুনের আসামিদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তারা সম্মান দেখাতে না চাইলে কী করার আছে। আইন করে সম্মান নেয়া যায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যে সব দেশে দূতাবাস আছে, প্রত্যেক দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে মুজিববর্ষ পালন করা হবে। আমাদের দূতাবাসগুলো উদ্যোগ নিচ্ছে। মুজিববর্ষে অনেক দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান আসবেন। আমরা ভাগে ভাগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেব। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেও অনেককে দাওয়াত দেব, সেখানে এসে বক্তব্য দিয়ে যাবেন।’