আজকের সিলেট

ফেঞ্চুগঞ্জে নারী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও মোল্লাটিলা এলাকায় চাঞ্চল্যকর জুলেখা বেগম খুনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার উত্তর শেখরনগর গ্রামের (বর্তমানে মাইজগাঁও মোল্লাটিলাস্থ দেলোয়ার হোসেনের গরুর খামারের কর্মচারী) উসমান গনির ছেলে রোকন ওরফে কালু (২০), কুলাউড়ার গাজিপুর গ্রামের সুকরামের ছেলে বর্তমানে ফেঞ্চুগঞ্জের শরীফগঞ্জস্থ সাইফুল ইসলাম ছোটনের গরুর খামারের কর্মচারী ইন্দ্র (২১) ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মনিপুর গ্রামের মৃত সনজিত ভক্তা ওরফে বঙ্গই এর ছেলে পুরানগাঁওস্থ জহির মিয়ার গরুর খামারের কর্মচারী উমন ভক্তা (১৪)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আজ শুক্রবার আসামীদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

জানা গেছে, মোগলাবাজার থানাধীন বনমালিপুর পীরেরচক গ্রামের রেদোয়ান মিয়ার সাথে ৪/৫ মাস পূর্বে স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৫) এর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে জুলেখা বেগম দুই ছেলে ছেলে রুমান আহমদ ও রুমেল আহমদকে নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও মোল্লাটিলাস্থ দেলোয়ার হোসেনের গরুর খামারের ভিতরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। জুলেখা বেগমের দুই ছেলে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজকর্ম করে একটি সিএনজি ক্রয়ের জন্য মায়ের কাছে টাকা জমা রাখতো। তিনি ভাড়াটিয়া ঘরে থাকা একটি টেবিলের ড্রয়ারে তাদের জমানো টাকা রাখতেন। গ্রেপ্তারকৃত রোকন ওরফে কালু পাশের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হিসেবে টাকা জমানোর বিষয়টি জানতো।

পুলিশ জানায়, গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জুলেখা বেগমের ছোট ছেলে রুমেল ঘরে গিয়ে দেখে আসবাবপত্র তছনছ করা এবং তার মা ঘরে নেই। রুমেল ও রুমান তার মাকে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে এবং আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনসহ তারা এলাকার বিভিন্ন জায়গার খোঁজাখুঁজি করে একসময় ফেঞ্চুগঞ্জের পুরানগাঁও গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মায়া বেগমের বসতবাড়ীর উত্তর পার্শ্বে খোলা টয়লেটের রিংয়ের ট্যাংকির নিকটবর্তী স্থানে রক্ত এবং জুলেখা বেগমের লাশ টয়লেটের ট্যাংকির ভেতরে পড়ে আছে।

বিষয়টি ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় অবহিত করলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম জুলেখা বেগমের লাশ টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর হতে উঠালে দেখা যায় গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

পরে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে পাশাপাশি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নির্দেশনায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশের একাদিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে অভিযানের এক পর্যায়ে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জডিত উল্লেখিত তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আরও সংবাদ

Close