শীর্ষ খবরসারা বাংলা

ভারতের স্ট্রেইন দেশে ছড়ানোর শংকা : হাসপাতাল থেকে পালালো ১০ রোগী

হাসপাতাল থেকে ‘পালিয়ে’ গেছেন ভারতফেরত ১০ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত শনিবার সকাল থেকে রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের মধ্যে তারা পালিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে গিয়েছেন। এতে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ২৩ এপ্রিল সকাল দশটা ৫৭ মিনিটে ভারতফেরত কিছু রোগীকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববারও রোগী আসে। সবমিলিয়ে দু’দিনে দশজন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরপর তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু পরদিন সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘যারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন, তালিকা করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আশপাশের জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকদের কাছে এ বিষয়ে জানানো হচ্ছে।’

হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টার মতে, ভর্তি রোগীরা হলেন- যশোর শহরের বিমান অফিস  মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই গ্রামের একরামের স্ত্রী রোমা (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মমিন,  রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতষের স্ত্রী শেফালি রানী, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদের সানার ছেলে আমিরুল সানা ও একই জেলার রুপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)।

করেনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স লাবনী বিশ্বাস বলেন, ভারত থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা দশজন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। কিন্তু আজ সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ও বক্ষব্যাধির কয়েকজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে তার মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারেন।

তারা আরও বলেন, করোনার ভারতীয় ধরন উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ধরনের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও সংবাদ

Close